শিশু ফাতেমার হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে বেঁচে থাকার আকুতি

click here
to earn wit

 সাড়ে ছয় বছরের ছোট শিশু ফাতেমা, যার হাসি আর মায়াবি চেহারার দিকে তাকালে দৃষ্টি আটকে যায়। ঝিনাইদহ শহরের অক্সফোর্ড স্কুলের প্লে গ্রুপে পড়া ছোট্ট এই মেয়েটির মুখে সব সময় হাসি থাকে। স্বপ্নের মতো তার প্রাণবন্ত হাসি, কিন্তু সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে বেঁচে থাকার আকুতি। সে একটি জটিল রোগে আক্রান্ত।




থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু ফাতেমা


সাড়ে ছয় বছরের ছোট শিশু ফাতেমা, যার হাসি আর মায়াবি চেহারার দিকে তাকালে দৃষ্টি আটকে যায়। ঝিনাইদহ শহরের অক্সফোর্ড স্কুলের প্লে গ্রুপে পড়া ছোট্ট এই মেয়েটির মুখে সব সময় হাসি থাকে। স্বপ্নের মতো তার প্রাণবন্ত হাসি, কিন্তু সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে বেঁচে থাকার আকুতি। সে একটি জটিল রোগে আক্রান্ত।


ফাতেমা প্রতিনিয়ত থ্যালাসেমিয়া রোগের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে। এ জন্য তার পরিবারের এরই মধ্যে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। দীর্ঘ সময়ে ফাতেমার শরীরে প্রায় ১৫০ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। এখনো বাবা ছুটে বেড়ান রক্তের সন্ধানে। এভাবে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ভারতেও চিকিৎসক দেখানো হয়েছে ফাতেমাকে। তাঁরা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ভালো হতে হলে ফাতেমার বোনম্যারো প্রতিস্থাপন করতে হবে। আর এ জন্য তাঁদের আরও ২০ থেকে ২২ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অসহায় বাবা মেয়ের চিকিৎসায় এরই মধ্যে সব শেষ করেছেন, আর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সম্বল নেই। তাই মেয়েকে বাড়িতে রেখেছেন।



ফাতেমার বাবা ঝিনাইদহ শহরের হামদহ পূর্বপাড়ার রাশেদুল ইসলাম একজন স্বল্প আয়ের মানুষ। নিজের সহায়সম্বল বলতে তেমন কিছু নেই। মেয়ের সুস্থতার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। পাঁচ বছর ধরে মেয়ের চিকিৎসার জন্য একাই লড়ে যাচ্ছেন। দেশ–বিদেশ (ভারত) দৌড়ে এই বাবা আজ বড় ক্লান্ত। তাঁর লড়াই–সংগ্রাম অর্থের অভাবে যেন ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে।


পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফাতেমার চিকিৎসার জন্য বাবা রাশেদুল গত সাড়ে পাঁচ বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। তবুও শিশু ফাতেমাকে পুরোপুরি সুস্থ করতে পারেননি। দিন যতই যাচ্ছে, সন্তানের জন্য বাবার লড়াই ততই কঠিন হয়ে পড়ছে। ১৫ দিন পরপর ফাতেমাকে রক্ত দিতে হচ্ছে। এভাবে চলছে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর। চিকিৎসকেরা বলছেন, ফাতেমার স্থায়ী সুস্থতার জন্য তার বোনম্যারো প্রতিস্থাপন করতে হবে। এর মধ্যে বোনম্যারো জোগাড় হয়েছে। বোনম্যারো দেবে ফাতেমার বড় ভাই তামিম। কিন্তু অর্থের অভাবে তা প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে না। দরকার ২১ লাখ টাকা, যা এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা অসম্ভব।


ফাতেমার স্বজন রবিউল ইসলাম বলেন, কেবল অসুস্থ ফাতেমার কারণে গোটা একটি পরিবার ভেঙে পড়েছে। শিশুর জীবন শুধু তার নিজের নয়, তার চারপাশের সবার। শিশুটির দাদা আনোয়ার হোসেন জানান, ফাতেমার বুকে মাথা রাখলে মনে হয়, সে বলছে, ‘আমাকে বাঁচতে দাও, আমার জন্য কিছু করো’।


শিশু ফাতেমার বাবা রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি মেয়েকে নিয়ে অনেক ছুটেছেন। এক ব্যাগ রক্তের জন্য রাজশাহী পর্যন্ত গেছেন। এভাবে মেয়েকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে স্থায়ীভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। টাকার অভাবে মেয়েটি মৃত্যু দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বাবা হয়ে তিনি শুধু দেখছেন, কিছুই করতে পারছেন না। মেয়েকে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা আশা করেছেন রাশেদুল।


সহায়তা করার উপায়—
বিকাশ নম্বর : ০১৯৯০৪৭৬৪৭৩

নগদ নম্বর:  ০১৩০০৩৪০৩৩২




Post a Comment

0 Comments